ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ বাংলাদেশ (এনপিএসবি) বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ইলেকট্রনিক রিটায়েল লেনদেন প্ল্যাটফর্ম। এনপিএসবি সিস্টেম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক দ্বারা পরিচালিত হয়। কার্ড ও অনলাইন ভিত্তিক লেনদেনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ২৭ ডিসেম্বর ২০১২ তে এই সিস্টেমটি চালু করে । এনপিএসবি পদ্ধতির আওতায় বর্তমানে আন্তঃব্যাংক অটোমেটেড টেলার মেশিন (ATM), পয়েন্ট অফ সেলস (POS), ইন্টারনেট ব্যাংকিং ফান্ড ট্রান্সফার (IBFT) লেনদেন প্রক্রিয়া করছে।
এটিএম
ও পস
বর্তমানে দেশে এনপিএসবি নেটওয়ার্কের ভিত্তিতে ৫৩ টি ব্যাংক কার্ড ব্যবসা পরিচালনা করছে। অর্থাৎ, এনপিএসবি সদস্যভূক্ত ব্যাংকগুলির যে কোনও ব্যাংকের একজন কার্ডধারী সারা দেশে অন্য সমস্ত এনপিএসবি সদস্যভূক্ত ব্যাংকের এটিএম ব্যবহার করতে পারবেন৷ কার্ডধারীরা দেশের প্রায় সমস্ত এটিএম থেকে যেকোনো সময় নগদ টাকা উত্তোলন, মিনি স্টেটমেন্ট এবং ব্যালেন্স অনুসন্ধানের মতো ব্যাংকিং পরিষেবা পাচ্ছেন নিমিষেই। এনপিএসবি এর সুবধিা স্বরুপ ব্যাংকগুলোর ক্যাশ কাউন্টারে দীর্ঘ লাইন ও অপেক্ষার পালা কমছে।
এনপিএসবি নেটওয়ার্ক ব্যাবহার করে একজন ডেবিট কার্ড হোল্ডারকে নিজ ব্যাংকের এটিএম ব্যাতীত নগদ উত্তোলনের জন্য প্রতি লেনদেনে (ভ্যাট সহ) ১৫ টাকা এবং ও প্রতিটি মিনি স্টেটমেন্ট বা ব্যালেন্স অনুসন্ধানের জন্য ৫ টাকা (ভ্যাট সহ) চার্জ করা হয়। তবে নিজ ব্যাংকের এটিএম ব্যবহারের জন্য সাধারনত চার্জ আরেপ করা হয়না্। উল্লেখ্য যে ক্রেডিট কার্ডের জন্য কার্ড ইস্যুাকারী কর্তৃক নির্ধারিত ক্যাশ এ্যাডভান্স ফি প্রদান করতে হবে।
এনপিএসবি নেটওয়ার্ক এর অধীনে বর্তমানে ৪৮ টি ব্যাংকের কার্ডহোল্ডারগন পস্ লেনেদেনের জন্য সদস্য ব্যাংকের POS ব্যবহার করে বিভিন্ন মার্চেন্ট আউটলেটে পেমেন্ট বা বিল পরিশোধ করতে পারবেন। এনপিএসবি সদস্য ব্যাংকগুলির পিওএস-এ কার্ডগুলির বৃহত্তর গ্রহণযোগ্যতার কারণে গ্রাহকের নগদ অর্থ বহনের ঝুকি খুব দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। NPSB-এর অধীনে অন্য ব্যাংকের POS ব্যবহার করে কার্ডধারীদের রিটায়েল কেনাকাটার জন্য কোনও অতিরিক্ত চার্জ দিতে হবে না।
ইন্টারনেট
ব্যাংকিং ফান্ড ট্রান্সফার (IBFT)
এনপিএসবি নেটওয়ার্ক এর অধীনে বর্তমানে বিভিন্ন
ব্যাংকের ইন্টারনেট ব্যাংকিং ফান্ড ট্রান্সফার (IBFT) লেনদেনের প্রক্রিয়া করছে৷ এই
প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেবাদানকারী ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ইন্টারনেট ব্যাংকিং চ্যানেল
থেকে ব্যাংকের নির্ধারিত লিমিট সীমার মধ্যে ফান্ড ট্রান্সফার করা সম্ভব। এই পদ্ধতিতে
লেনদেন সাধারনত তাৎক্ষণিক নিষ্পত্তি হয়। প্রায় ব্যাংক এই সেবা বিনামূল্যে প্রদান করে
থাকে। অনলাইনে ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ফান্ড ট্রান্সফারের নিরাপত্তা নিশ্চিত
করার জন্য টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকশন বা (2FA) ব্যবহার করা হয়। উক্ত সুবিধার ফলে এখন বাড়ি
বা অফিস থেকে ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে গ্রাহকদের ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, ক্রেডিট
কার্ড বিল পেমেন্ট, লোনের কিস্তি পেমেন্ট, ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়াম পেমেন্ট ইত্যাদি
পরিষেবা প্রদান করতে পারছে সহজেই।
ব্যাংকিং টাচে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের উন্মুক্ত এই অনলাইন পরিষেবাকে সৃজনশীলতার মঞ্চ হিসেবে বাঁচিয়ে রাখতে বদ্ধ পরিকর। আমরা আপনাদের নিকট হতে ব্যাংকিং ও আর্থিক বিষয়ক শৈল্পিক, শিক্ষামূলক, ডকুমেন্টারি, গবেষণামূলক বা বৈজ্ঞানিক আলোচনা সংক্রান্ত কন্টেন্ট বা যেসব কন্টেন্ট থেকে জনগণ উপকৃত হন এমন সব কন্টেন্ট প্রত্যাশা করি। আপনার মূল্যবান কন্টেন্ট আমাদের কাছে পাঠাতে ই-মেইল করুন [email protected] এই ঠিকানায়। | |||
আপনার একটু সমর্থনই আমাদের এগিয়ে চলা ও আরও ভাল কিছু করার অনুপ্রেরণা যোগায়। আপনার মূল্যবান সমর্থনটি জানাতে ভিজিট করুন আমাদের সমাজিক যোগযোগের পেজগুলোতে ও লাইক, ফলো ও সাবস্ক্রইব করে আমাদের সাথে থাকুন। ধন্যবাদ | |||
কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। বিস্তারিত....... |
উৎস/কপি: বাংলাদেশ ব্যাংক