বাংলাদেশর ডিজিটাল ক্ষুদ্রঋণের যুগে আগমন কে আমরা স্বাগত জানাই।এখন থেকে সবার হাতে সিটি ব্যাংকের ঋণ পৌঁছে যাবে বিকাশের মাধ্যমে। ‘ডিজিটাল ন্যানো লোন’ এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, আবেদন করার সময় কোনো নথিপত্রের দরকার হবে না। এই পদ্ধতির অপর নাম ইলেক্ট্রনিক্স লোন (ই-লোন) । বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে ক্লিক করার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ঋণ পাওয়া যাবে। ৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ মিলবে। ঋণের মেয়াদ সর্বোচ্চ তিন মাস। এদেশর জনগণের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির জন্য এই যুগান্তকারী নতুন সম্ভাবনাময় উদ্যোগটি আমাদের দেশে অত্যান্ত প্রয়োজন ছিল। সেই কাজটিই করেছে সিটি ব্যাংক বিকাশ-এর সাথে।
বাংলাদেশের গ্রামীন জনগোষ্ঠি এখনো চড়া সুদে ঋণ নিতে ছুটেছে মহাজন ও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) কাছে। যেখান থেকে তাদের অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে বিভিন্ন শর্তের বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে চড়া সুদে ঋণ নিতে হচ্ছে। এবার সেই অবস্থার কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলবে বিকাশ ও সিটি ব্যাংকের এই ডিজিটাল ন্যানো লোনের মাধ্যমে।
বিকাশ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল প্রতিষ্ঠান (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান ও দ্যা সিটি ব্যাংক লিমিটেড দেশের বেসরকারি খাতের শীর্ষস্থানীয় ব্যাংকগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক।
বিকাশ
ও সিটি ব্যাংক নিয়ে এলো ‘ডিজিটাল ন্যানো লোন’এর সুবিধা:
·
আবেদন করার সাথে সাথেই লোন পাবেন
·
৩ মাস মেয়াদী লোন
·
কোনো ব্যাংক একাউন্ট বা জামানত লাগবে না
·
কোন কাগজ-পত্র লাগবে না
·
একাউন্ট ব্যালেন্স থেকেই অটো-কিস্তি পরিশোধের সুবিধা
·
ব্যাংক-এর কোন প্রসেসিং ফি নেই
এই লোন সুবিধার আওতায় একজন গ্রাহক বিকাশ অ্যাপ দিয়ে সিটি ব্যাংক থেকে ৫০০ টাকা থেকে ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত লোন গ্রহণ করতে পারবেন।। গ্রাহকের বিকাশ একাউন্টে এই লোনের টাকা জমা হবে, এবং বিকাশ একাউন্ট থেকে গ্রাহক এই লোনের টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। একজন গ্রাহক একবারে একটি লোনই নিতে পারবেন। বাংলাদেশ ব্যাংক-এর নির্দেশনা অনুযায়ী লোন এমাউন্টের উপর বাৎসরিক ৯% ইন্টারেস্ট রেট প্রযোজ্য হবে।
লোন পরিশোধের পদ্ধতি:
বিকাশ অ্যাপ থেকে লোন অ্যাপ্লাই করার সময় ও লোন পাওয়ার পর ড্যাশবোর্ড-এ গ্রাহক লোন কিস্তির পরিমাণ ও পরিশোধের তারিখ দেখতে পাবেন । গ্রাহক চাইলে লোন পরিশোধের নির্দিষ্ট তারিখে গ্রাহকের বিকাশ একাউন্ট থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ অটো ডেবিট হিসেবে কেটে নেয়া হবে। অথবা গ্রাহক চাইলে নির্দিষ্ট তারিখের আগে নিজেই লোনের অর্থ পরিশোধ করতে পারেন, যার ফলে ইন্টারেস্টের খরচ কমে আসার সুবিধা পেতে পারেন। নির্দিষ্ট তারিখে গ্রাহকের বিকাশ একাউন্টে যথাযথ পরিমাণ অর্থ না থাকলে এবং নির্দিষ্ট দিনের আগেই লোনের অর্থ গ্রাহক কর্তৃক পরিশোধ না করা হলে, সেক্ষেত্রে বিলম্ব ফি প্রযোজ্য হবে। বিলম্ব ফি'র হার লোনের পরিমাণের উপর বাৎসরিক ২%।
লোন
পাওয়ার যোগ্যাতা :
বিকাশ সিটি ব্যাংকের ঋণ প্রদানের নীতিমালা অনুযায়ী, সিটি ব্যাংক নির্দিষ্ট বিকাশ গ্রাহকদের এই লোন সুবিধা প্রদান করবে। একজন বিকাশ গ্রাহক হিসেবে সিটি ব্যাংক থেকে লোন পাবেন কি না, তা জানতে বিকাশ অ্যাপের লোন অপশনে গিয়ে যাচাই করে নিতে পারেন।। ইন্টারেস্ট রেট, প্রসেসিং ফি, লোন লিমিট, লোন পরিশোধের নিয়মাবলি, লোন পাওয়ার যোগ্যতা, এবং ক্রেডিট পলিসি নির্ধারণের ক্ষমতা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী সিটি ব্যাংক কর্তৃক সংরক্ষিত। যোগ্য বিকাশ গ্রাহকেরা তাদের বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন করে মুহূর্তেই পেয়ে যাবেন এই লোন। এক্ষেত্রে গ্রাহকদের বিকাশ অ্যাপ আপডেট করার প্রয়োজন হতে পারে।
ব্যাংকিং টাচে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের উন্মুক্ত এই অনলাইন পরিষেবাকে সৃজনশীলতার মঞ্চ হিসেবে বাঁচিয়ে রাখতে বদ্ধ পরিকর। আমরা আপনাদের নিকট হতে ব্যাংকিং ও আর্থিক বিষয়ক শৈল্পিক, শিক্ষামূলক, ডকুমেন্টারি, গবেষণামূলক বা বৈজ্ঞানিক আলোচনা সংক্রান্ত কন্টেন্ট বা যেসব কন্টেন্ট থেকে জনগণ উপকৃত হন এমন সব কন্টেন্ট প্রত্যাশা করি। আপনার মূল্যবান কন্টেন্ট আমাদের কাছে পাঠাতে ই-মেইল করুন [email protected] এই ঠিকানায়। | |||
আপনার একটু সমর্থনই আমাদের এগিয়ে চলা ও আরও ভাল কিছু করার অনুপ্রেরণা যোগায়। আপনার মূল্যবান সমর্থনটি জানাতে ভিজিট করুন আমাদের সমাজিক যোগযোগের পেজগুলোতে ও লাইক, ফলো ও সাবস্ক্রইব করে আমাদের সাথে থাকুন। ধন্যবাদ | |||
কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। বিস্তারিত....... |
ইনফো সোর্স:
১। সিটি ব্যাংক ফেসবুক পেইজ
২। বিকাশ ওয়েবসাইট