বর্তমানে আমরা অনলাইনে বৈদেশিক মুদ্রায় পেমেন্টের জন্য বিভিন্ন ব্যাংকের ডেবিট,ক্রেডিট ও প্রিপেইড কার্ড ব্যবহার করে থাকি। এই কার্ডগুলো ব্যবহার করে পেমেন্ট করার সময় আমরা অনেক সময় বিভিন্ন সমস্যা ফেস করে থাকি। এখানে আমরা জানার চেষ্টা করব কিভাবে বৈদেশিক মুদ্রায় স্মুথলী একটি পেমেন্ট করতে পারব এবং এক্ষেত্রে আমাদের পূর্ব করণীয় সমম্পর্কে আমরা আলোচনা করবো এতে করে পরবর্তীতে আমরা বৈদেশিক মুদ্রায় সহজেই লেনদেন করতে পারবেন ইনশাল্লাহ।
বৈদেশিক
মুদ্রায় কোনো লেনদেন করার আগে যে বিষয়গুলো লক্ষণীয়:
·
আপনি যে কার্ড দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেন করতে
চাচ্ছেন সেই কার্ডটি ডুয়েল কারেন্সি সমর্থিত কিনা আগে জেনে নিন।
·
আপনার কার্ডটি আপনার বৈধ পাসপোর্ট দিয়ে অবশ্যই
ট্রাভেল করার বিপরীতে এন্ড্রোসমেন্ট করে নিন। এন্ড্রোসমেন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত
জানতে এখানে ক্লিক করুন……..
·
আপনি যে কোম্পানীতে বা ওয়েবসাইটে পেমেন্ট করতে
চাচ্ছেন সেই ওয়েবসাইট/প্রতিষ্ঠান বা সংশ্লিষ্ট পণ্য বা পরিষেবা আপনার কার্ড ইসুয়্যার
ব্যাংক কর্তৃক কোন নিষেধাজ্ঞা আছে কিনা সেই
বিষয়ে অবগত হয়ে নিন। অনেক সময় কিছু কিছু নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা সাইটের জন্য পেমেন্টে
নিষেধাজ্ঞা থাকতে পারে।
·
আপনার কার্ডটি বাংলাদেশী টাকা ও ডলারের জন্য যদি
ভিন্ন ভিন্ন পার্ট থাকে তাহলে আগে নিশ্চিত হয়ে নিন যে ডলার পার্টে পর্যাপ্ত পরিমাণ
ব্যালেন্স আছে কিনা। স্থানীয় মুদ্রা ব্যাতীত যেকোন বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেনের জন্য
কেবলমাত্র ডলার পার্টে ব্যালেন্স থাকলেই উক্ত লেনদেনটি সম্পন্ন করা যাবে। যদি না থাকে
তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী ডলার পার্টে ব্যালেন্স যোগ করে নিন।
·
আপনি এন্ড্রোসমেন্ট সম্পর্কে অবগত হয়ে নিন আপনি
যে পরিমাণ ডলার এন্ডোর্সমেন্ট করা ছিল তার কতখানি ব্যবহার হয়েছে। সে বিষয়টি নিশ্চিত
হয়ে তারপরে লেনদেন করার চেষ্টা করুন। এক্ষেত্রে নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রয়োজনে আপনার
ব্যাংকের মনোনীত কল সেন্টারে কল করে নিশ্চিত হয় নিতে পারেন।
· ইউএস ডলার ব্যতীত অন্য কোন বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী মার্ক-আপ ফি প্রযোজ্য হবে। লেনদেন করার পূর্বে অবশ্যই নিশ্চিত হয়ে নিন মার্ক-আপ ফি কর্তন করার মতো ব্যালেন্স আপনার একাউন্টে আছে কিনা। মার্ক-আপ ফি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন……….
উপরোক্ত বিষয়গুলো যদি ঠিক থাকে তাহলে আপনি এখন ফরেন কারেন্সি তে লেনদেনের জন্য উপযোগী। এখন আপনার লেনদেনটি সম্পূর্ণ করার জন্য আপনার ব্যাংকের আপনি যে ব্যাংকের কার্ড ব্যবহার করছেন সেই ব্যাংকের কল সেন্টার কল করে ফরেন পার্টটি সচল করে নিন ও এবং ট্রানজাকশন এর জন্য ডলার লিমিট সেট করে নিন। ব্যাংক গুলো সাধারণত ৩০০ ডলার পর্যন্ত অনুমোদন দিয়ে থাকে। আরো বেশি লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যাংকে সরাসরি যোগাযোগ করুন এবং আপনার প্রয়োজন ও ব্যাংকের রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
আপনার আর্থিক নিরাপত্তার স্বার্থে আপনার ফরেন কারেন্সি তে লেনদেন শেষে আপনার ফরেন পার্টটি বন্ধ করে রাখুন এবং প্রয়োজনে সচল করে ব্যবহার করুন।
ব্যাংকিং টাচে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের উন্মুক্ত এই অনলাইন পরিষেবাকে সৃজনশীলতার মঞ্চ হিসেবে বাঁচিয়ে রাখতে বদ্ধ পরিকর। আমরা আপনাদের নিকট হতে ব্যাংকিং ও আর্থিক বিষয়ক শৈল্পিক, শিক্ষামূলক, ডকুমেন্টারি, গবেষণামূলক বা বৈজ্ঞানিক আলোচনা সংক্রান্ত কন্টেন্ট বা যেসব কন্টেন্ট থেকে জনগণ উপকৃত হন এমন সব কন্টেন্ট প্রত্যাশা করি। আপনার মূল্যবান কন্টেন্ট আমাদের কাছে পাঠাতে ই-মেইল করুন [email protected] এই ঠিকানায়। | |||
আপনার একটু সমর্থনই আমাদের এগিয়ে চলা ও আরও ভাল কিছু করার অনুপ্রেরণা যোগায়। আপনার মূল্যবান সমর্থনটি জানাতে ভিজিট করুন আমাদের সমাজিক যোগযোগের পেজগুলোতে ও লাইক, ফলো ও সাবস্ক্রইব করে আমাদের সাথে থাকুন। ধন্যবাদ | |||
কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। বিস্তারিত....... |