নির্ধারিত সময়ে ক্রেডিট কার্ডের বিল প্রদানে ব্যর্থ হলে কি ঘটতে পারে?
বহুক্ষেত্রেই ক্রেডিট কার্ডের গ্রাহকরা কোনও না কোনও কারণে নির্ধারিত দিনের ভিতর পেমেন্ট করে উঠতে পারেন না৷ আর তারফলে পকেট ফাঁকা৷ কিন্তু সময় মতো পেমেন্টটা করে দিলে ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা পুরোপুরি আপনিও নিতে পারবেন ৷ এবার দেখে নেওয়া যাক নির্ধারিত সময়ে ঠিক মতো পেমেন্ট না করার ফল কেমন হতে পারে৷
১। নির্ধারিত সময়ে ক্রেডিট কার্ডে পেমেন্ট না করলে “লেট ফি” দিতে হতে পারে৷ এখন নিদিষ্ট দিনে ন্যূনতম যত টাকা পেমেন্ট করা দরকার তার থেকে কম টাকা জমা দিলেও এই “লেট ফি” দিতে হবে৷ তবে ওই নির্দিষ্ট দিন থেকে তিনদিনের ‘গ্রেস পিরিয়ড’ দেওয়া থাকে টাকা জমা করার জন্য, সেটাও পেরিয়ে গেলে এই “লেট ফি”’ দিতে হয়
২।এখন একটা কথা মনে রাখা দরকার ক্রেডিট কার্ডের নির্ধারিত দিনে ন্যূনতম টাকা পেমেন্ট করা মানেই কিন্তু সব দায় মুক্ত হওয়া নয়৷ কারণ সেক্ষেত্রেও ঋণের উপর সুদের পরিমান শোধ করার দায় থেকেই যাচ্ছে৷
৩।মাথায় রাখতে হবে ক্রেডিট কার্ডে সুদের হার খুব বেশি (২০% বছরে তারমানে ১.৬৭% মাসে, এটাকে আরো ভাঙলে হয় প্রতিদিন ০.০০৫৬%) ৷সেক্ষেত্রে মনে রাখা দরকার ক্রেডিট কার্ড মারফত নিয়মিত নগদ টাকা তোলা (ওই দিন থেকেই) অথবা জিনিস কিনলে একই ভাবে সুদের দায় চাপে৷
৪। সুদের দায় যাতে ঘাড়ে না চাপে নগদ তুললেও নির্ধারিত দিনের আগেই তা পুরোপুরি পেমেন্ট করে দেওয়া উচিত, তাহলেই একমাত্র আপনার ক্ষেত্রে সুদবিহীন ক্রেডিট কার্ড কথা বলা চলবে৷
তবে সেক্ষেত্রে দেখে নিতে হবে কবে টাকা পেমেন্ট করলে সর্বাধিক বিনা সুদে ঋণের সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে সাধারণত দেখা যায় ১৫ থেকে ৪৫ দিন সময়কাল*** দেওয়া হয় বিনা সুদে ঋণ উপভোগ করার৷ একে বারে পরিকল্পনা মাফিক ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে এই সময় কালের মধ্যে টাকা মিটিয়ে দিলে আপনি উপকৃত হবেন৷ এই সময়কালের বেপারটি নিচে বুঝার জন্য বিস্তারিত লিখা হল:
ধরুন আপনি আপনার আমেক্স গ্রিন ব্লু কার্ড আছে,এই কার্ডের বিলিং তারিখ ২৮ তারিখ। গত মাস ছিল ফেব্রুয়ারী এবং ২৮শে ফেব্রুয়ারী তারিখে একটি প্রোডাক্ট কিনলেন এতে করে ফেব্রুয়ারী
২৮- মার্চ ২৭ = ৩০ দিন ,মার্চ ২৮- এপ্রিল ১৩ [ডিউ তারিখ] = ১৫ দিন ,এইভাবে টোটাল ৪৫ দিন সব্বোচ সময় পাবেন। এখন,
আপনি যদি প্রোডাক্টটি ফেব্রুয়ারীর ২৭ তারিখে কিনেন তাইলেতো হিসাবে মেসেজ আসবে পরদিন, মানে ২৮শে ফেব্রুয়ারী, তাই এইখানে আপনার সময় পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১৫ দিন। এই কারনেই বলা হয় যে ইন্টারেস্ট ছাড়া বিল পরিশোধ করতে পারবেন সবোনিম্ন ১৫ দিন এবং সবোচ্চ ৪৫ দিন।
৫। মনে রাখবেন ক্রেডিট কার্ডে ঋণ খেলাপি হলে ভবিষ্যতে কোনও ঋণ পেতে অসুবিধায় পড়তে হবে৷ কারণ আপনার টাকা না মেটানর কথা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক সেটি বাংলাদেশ ব্যাংকে জানাবে এবং এতে করে আপনার CIB Report ও খারাপ হবে, পরবর্তী কালে কোনও রকম ঋণ নিতে গেলে তা নামঞ্জুর হতে পারে৷
ব্যাংকিং টাচে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের উন্মুক্ত এই অনলাইন পরিষেবাকে সৃজনশীলতার মঞ্চ হিসেবে বাঁচিয়ে রাখতে বদ্ধ পরিকর। আমরা আপনাদের নিকট হতে ব্যাংকিং ও আর্থিক বিষয়ক শৈল্পিক, শিক্ষামূলক, ডকুমেন্টারি, গবেষণামূলক বা বৈজ্ঞানিক আলোচনা সংক্রান্ত কন্টেন্ট বা যেসব কন্টেন্ট থেকে জনগণ উপকৃত হন এমন সব কন্টেন্ট প্রত্যাশা করি। আপনার মূল্যবান কন্টেন্ট আমাদের কাছে পাঠাতে ই-মেইল করুন [email protected] এই ঠিকানায়। | |||
আপনার একটু সমর্থনই আমাদের এগিয়ে চলা ও আরও ভাল কিছু করার অনুপ্রেরণা যোগায়। আপনার মূল্যবান সমর্থনটি জানাতে ভিজিট করুন আমাদের সমাজিক যোগযোগের পেজগুলোতে ও লাইক, ফলো ও সাবস্ক্রইব করে আমাদের সাথে থাকুন। ধন্যবাদ | |||
কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। বিস্তারিত....... |