ইসলামিক ব্যাংকিং হল একটি আর্থিক ব্যবস্থা যা ইসলামী শরীয়তের বিধান এবং নীতির সাথে সঙ্গতি রেখে ব্যাংকিং এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে। এটি ব্যবসা ও ব্যবসা সংক্রান্ত শরীয়াহ আইনশাস্ত্রের বিশ্বাস ও নীতি কঠোরভাবে অনুসরণ করে। আধুনিক ইসলামিক ব্যাংকিং শিল্পের আবির্ভাব হয় ১৯৭০-এর দশকে। ইসলামিক ব্যাংকিং বলতে খুব সহজে যদি বলা হয় তাহলে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক আর্থিক ব্যবস্থার উপর নির্ভর করে গড়ে উঠা ব্যাংক ব্যবস্থাকে বুঝায়। ইসলামিক ব্যাংকিং এর যে মূলনীতি তার মধ্যে অন্যতম দুটি মূলনীতি হচ্ছে লাভ ও লোকসানের ভাগ নেওয়া এবং সুদ লেনদেন নিষিদ্ধ। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পবিত্র কুরআন মাজীদে সূরা আল বাকারায় এরশাদ করেন, “আমি ব্যবসাকে হালাল আর সুদকে হারাম করেছি” । ইসলামিক ব্যাংকি এর কয়েকটি মৌলিক সূক্ষ্ম বিষয় যা ইসলামিক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা ইসলামিক ব্যাংকিং সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্য স্মরণীয়। আসমানি হেদায়াতের উপর বিশ্বাস স্থাপন, পুঁজিবাদ ও ইসলামি অর্থব্যবস্থার মাঝে মৌলিক পার্থক্য, প্রকৃত সম্পদের উপর প্রতিষ্ঠিত অর্থায়ন, মূলধন এবং উদ্যোক্তা ।
ইসলামিক ব্যাংকিং এর উদ্দেশ্য হচ্ছে ইসলামিক অর্থনীতির প্রতিষ্ঠা করা। ইসলামি অর্থনীতি হলো কুরআন ও সুন্নাহ মোতাবেক অর্থনৈতিক লেনদেন ব্যবস্থা। ইসলামিক অর্থনীতির সংজ্ঞা প্রখ্যাত সমাজ বিজ্ঞানী ইবনে খালদুন এর মত অনুযায়ী ইসলামি অর্থনীতি হলো জনসাধারণের সাথে সম্পর্কিত বিজ্ঞান। মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর নীতি-পদ্ধতি অনুসরণে সৃষ্টির লালন-পালনের যাবতীয় জাগতিক সম্পদের সামগ্রিক কল্যাণধর্মী ব্যবস্থাপনাই ইসলামি অর্থনীতি। জগৎ বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ ডঃ এম নেজাতুল্লাহ সিদ্দিকী এর মত অনুযায়ী ইসলামি অর্থনীতি সমকালীন অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মুসলিম চিন্তাবিদদের জবাব। এছাড়াও পৃথিবীর আরো বিভিন্ন প্রখ্যাত সব অর্থনীতিবীদ ইসলামিক অর্থনীতিকে বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন।
ইসলামী ব্যাংকিং ও অর্থায়ন পদ্ধতি:
ইসলামী ব্যাংকগুলোর যে পদ্ধতিতে অর্থায়ন
করে থাকে তা নিম্নরূপ:
·
মুদারাবা
·
মুশারাকা
·
মুরাহাবা
· ইজারা
বাংলাদেশ
ইসলামিক ব্যাংকিং এর বিবর্তন
বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংকিং-এর যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৩ সালে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (আইবিবিএল) প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে । এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম সুদমুক্ত ব্যাংক হিসেবে পরিচিত। আইবিবিএল কোম্পানি আইন ১৯১৩-এর অধীনে সীমিত দায় নিয়ে একটি পাবলিক কোম্পানি হিসেবে এটি ১৯৮৩ সালের ১৩ মার্চ নিবন্ধিত হয়। বাংলাদেশে বর্তমানে দশটি পূর্ণাঙ্গ ইসলামিক ব্যাংক ও অন্যান্য প্রচলিত ব্যাংকগুলোও পাশাপাশি ইসলামিক ব্যাংকিং উইন্ডো এর মাধ্যমে ইসলামিক ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। বহুজাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যেও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশে ইসলামিক ব্যাংকিং সেবা পরিচালনা করে আসছে, যা “সাদিক ইসলামিক ব্যাংকিং” নামে পরিচিত।
ব্যাংকিং টাচে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের উন্মুক্ত এই অনলাইন পরিষেবাকে সৃজনশীলতার মঞ্চ হিসেবে বাঁচিয়ে রাখতে বদ্ধ পরিকর। আমরা আপনাদের নিকট হতে ব্যাংকিং ও আর্থিক বিষয়ক শৈল্পিক, শিক্ষামূলক, ডকুমেন্টারি, গবেষণামূলক বা বৈজ্ঞানিক আলোচনা সংক্রান্ত কন্টেন্ট বা যেসব কন্টেন্ট থেকে জনগণ উপকৃত হন এমন সব কন্টেন্ট প্রত্যাশা করি। আপনার মূল্যবান কন্টেন্ট আমাদের কাছে পাঠাতে ই-মেইল করুন [email protected] এই ঠিকানায়। | |||
আপনার একটু সমর্থনই আমাদের এগিয়ে চলা ও আরও ভাল কিছু করার অনুপ্রেরণা যোগায়। আপনার মূল্যবান সমর্থনটি জানাতে ভিজিট করুন আমাদের সমাজিক যোগযোগের পেজগুলোতে ও লাইক, ফলো ও সাবস্ক্রইব করে আমাদের সাথে থাকুন। ধন্যবাদ | |||
কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। বিস্তারিত....... |