সম্প্রতি বিকাশের সাথে পেওনিয়ার একটি চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে, যার ফলে যে সকল ফ্রিল্যান্সারগন পেওনিয়ার এর মাধ্যমে ক্লায়েন্ট বা মার্কেটপ্লেস থেকে পেমেন্ট নিয়ে থাকেন তারা তাদের উপার্জিত অর্থ পেওনিয়ার থেকে বিকাশের মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন। তবে এখানে প্রশ্ন যে থাকছে যে পেওনিয়ার-বিকাশের এই উদ্যোগটি দেশের ফ্রিল্যান্সারদের পেমেন্ট সংক্রান্ত ইস্যুতে চাহিদা এবং প্রাপ্তির কতটুকু পূরণ করতে সক্ষম হবে?
আমরা প্রথমেই বিকাশের এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারগন এদেশে পেপালের অফিসিয়াল কার্যক্রম না থাকার ফলে ফ্রিল্যান্সিং কাজের পেমেন্টের জন্য অন্যতম মাধ্যম হিসেবে পেওনিয়ার কে নিয়ে থাকেন। পেওনিয়ার থেকে টাকা উত্তোলনের জন্য তাদের পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড অথবা ব্যাংক ট্রান্সফার অপশনটি ব্যবহার করতে হতো। পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড এর খরচ ও ভোগান্তি অনেককেই বিরক্তিতে ফেলে। অপরদিকে ব্যাংক ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে অধিক ফি ও সময় প্রয়োজন হতো। এখন সারা বিশ্ব থেকে ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম পেওনিয়ার এর মাধ্যমে মূহুর্তেই ফ্রিল্যান্সারদের পেমেন্ট আসবে বিকাশে। দিন রাত ২৪ ঘন্টা রিয়েল টাইমে এই সেবা আসার সুবিধা বিকাশমান ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আরো গতিশীলতা আনবে এবং দেশের বৈধ পথে রেমিটেন্স প্রবাহকে আরো বেগবান করবে। দিন রাত ২৪ ঘন্টা যেকোন প্রান্তে বসে বিকাশে তাৎক্ষণিক পেমেন্ট গ্রহণ করার সুযোগ তৈরি হওয়ায় ফ্রিল্যান্সারদের আগের মতো পেমেন্টের জন্য আর দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে না। এটি নিঃসন্দেহে দেশে ফিলান্সিং খাতের জন্য একটি সবুজ সংকেত। এই সুবিধার ফলে ফ্রিল্যান্সাররা অনুপ্রাণিত হবে এবং খুব দ্রুত তারা তাদের পেমেন্ট হাতে পাবে। আশা করা যাচ্ছে ভোগান্তির পরিমাণ কমে আসবে।
অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইন্সটিটিউট এর অনলাইন লেবার ইনডেক্স১ এর মতে, আইসিটি ফ্রিল্যান্সিং সেবার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান সারা বিশ্বের মধ্যে শক্তিশালী। লাখো বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সার সারাবিশ্বে এ খাতে অবদান রাখছেন। তারা দেশের অর্থনীতিতে প্রতি বছর মিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা যুক্ত করছেন। ফ্রিল্যান্সিং আয়েও সারা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সেরা একটি দেশ হলো বাংলাদেশ। বর্তমানে দেশে সাড়ে ছয় লক্ষ ফ্রিল্যান্সার কাজ করছে, যা বিশ্বের অনলাইন আউটসোর্সিং এ ১৬ শতাংশ অবদান রাখছে। অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইন্সটিটিউট এর গবেষণায় উঠে এসেছে, অনলাইন আউটসোর্সিং এ বাংলাদেশ দ্বিতীয় বৃহত্তম গন্তব্য।
উক্ত পরিসংখ্যান প্রমাণ করছে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং খাত অনেক শক্তিশালী এবং তা ক্রমান্বয়ে এগিয়ে চলছে। তবে আমাদের দেশে ফ্রিল্যান্সারদের
সব সমস্যা এখানে সমাধান হয়ে যাবে না। পেমেন্ট সংক্রান্ত ইস্যুতে আমাদের অনেক সমস্যা
আছে। যেমন:
·
বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সারগণ পেপাল এর সুবিধা থেকে
বঞ্চিত রয়েছেন
·
ফ্রিল্যান্সাররা ব্যাংক একাউন্ট ওপেন করতে অনেক
সময় সমস্যা ভোগ করেন, বিশেষ করে সোর্স অফ ফান্ড প্রমাণ করতে গিয়ে অনেকেই ভোগান্তিতে
পড়ে যান। কারন ফ্রিল্যান্সারদের সবার ক্ষেত্রে আয়ের উৎস কাগজে-কলমে দেখানো সম্ভব
হয়না। বর্তমানে অনেক ব্যাংক এ ব্যাপারে সহযোগিতা করলেও বেশকিছু ব্যাংক তা করছেনা।
· ফ্রিল্যান্সাররা ব্যাংক লোন, ক্রেডিট কার্ড ইত্যাদি সুবিধা থেকে বঞ্চিত। কারণ হিসেবে দেখা যাচ্ছে ব্যাংক ফ্রিল্যান্সিংকে লোন বা ক্রেডিট কার্ড প্রদানের জন্য যোগ্য পেশা বলে মনে করে না।
এছাড়াও ফ্রিল্যান্সারদের ছোট-বড় বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে যদিও সব সমস্যার সমাধান সরকার বা কোন একক কর্তৃপক্ষের পক্ষ্যে সমাধান করা সম্ভব নয়, সকলেই যার যার অবস্থান থেকে এ ব্যাপারে এগিয়ে আসবে, এটাই প্রত্যাশা করে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারগণ ।
ব্যাংকিং টাচে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের উন্মুক্ত এই অনলাইন পরিষেবাকে সৃজনশীলতার মঞ্চ হিসেবে বাঁচিয়ে রাখতে বদ্ধ পরিকর। আমরা আপনাদের নিকট হতে ব্যাংকিং ও আর্থিক বিষয়ক শৈল্পিক, শিক্ষামূলক, ডকুমেন্টারি, গবেষণামূলক বা বৈজ্ঞানিক আলোচনা সংক্রান্ত কন্টেন্ট বা যেসব কন্টেন্ট থেকে জনগণ উপকৃত হন এমন সব কন্টেন্ট প্রত্যাশা করি। আপনার মূল্যবান কন্টেন্ট আমাদের কাছে পাঠাতে ই-মেইল করুন [email protected] এই ঠিকানায়। | |||
আপনার একটু সমর্থনই আমাদের এগিয়ে চলা ও আরও ভাল কিছু করার অনুপ্রেরণা যোগায়। আপনার মূল্যবান সমর্থনটি জানাতে ভিজিট করুন আমাদের সমাজিক যোগযোগের পেজগুলোতে ও লাইক, ফলো ও সাবস্ক্রইব করে আমাদের সাথে থাকুন। ধন্যবাদ | |||
কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। বিস্তারিত....... |