ই-কমার্স ইন্ড্রাস্ট্রিতে ড্রপ শিপিং

ই-কমার্স ইন্ড্রাস্ট্রিতে ড্রপ শিপিং

 

ই-কমার্স ইন্ড্রাস্ট্রিতে ড্রপ শিপিং

ই-কমার্স ইন্ড্রাস্ট্রিত বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় খাত গুলোর মধ্যে অন্যতম । বাংলাদেশে বর্তমানে ইলেকট্রনিকস কমার্স বা ই-কমার্স ব্যবসা প্রসারে বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন বিজনেস মডেল অনুযায়ী ব্যবসা করছে। যেমন, বিটুবি (Business-to-Business), বিটুসি (Business-to-consumer), সিটুবি (Consumer-to-business) ইত্যাদি । আজকে আমরা আলোচনা করব ড্রপ শিপিং নিয়ে ।

ড্রপ শিপিং কি?
What is drop shipping?

ড্রপ শিপিং হচ্ছে কোন পন্য খুচরা বিক্রেতা (Retailer) তার দোকান/শোরুম বা ওয়্যারহাউজে পণ্যটি স্টোর করে না রেখে সরাসরি উৎপাদকের কাছ থেকে একজনের ভোক্তার নিকট পৌঁছে দেওয়া । য়ার ফলে খুচরা বিক্রেতাদের হাতে পণ্যের কোনো মজুদ থাকা লাগে না তবে খুচরা বিক্রয়কারী ও উৎপাদকের মধ্যে অবশ্যই যে চুক্তিগুলো রয়েছে তা পূরণ করেই উভয়কে বিজনেস করতে হয়।

সাধারণত একজন কাষ্টমার একটি ওয়েবসাইটে ভিজিট করার পর বা অর্ডারটি যদি ফোনের মাধ্যমে হয়ে থাকে তাহলে কল করার পর কাস্টমার প্রথমে তার পছন্দ অনুযায়ী পণ্য কার্ট এ যোগ করবে এবং অর্ডার প্লেস করবে অথবা ফোনে কাস্টমার ক্যাটালগ অনুযায়ী তার কাঙ্খিত পণ্যের জন্য অর্ডার করবে । পরবর্তী ধাপে অর্ডারটি পাইকারি বিক্রেতা/আমদানীকারক বা উৎপাদকের কাছ থেকে সরাসরি কাস্টমারের শিপিং ঠিকানায় পণ্যটি ডেলিভারি হয়ে যাবে। এই প্রক্রিয়াটিই মূলত ড্রপ শিপিং এর বৈশিষ্ট্য ।

ড্রপ শিপিং ব্যবস্থাপনায় কাস্টমারের সুবিধা
Customer benefits in drop shipping management

·        কাস্টমার কম সময়ের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি নিতে পারবেন। কারণ পূর্বে যেখানে কয়েকটি মাধ্যমে হয় কাস্টমারের নিকট পণ্য ডেলিভারি করা হতো সেখানে এখন সরাসরি কাস্টমারের নিকট প্রোডাক্ট ডেলিভারি করা হচ্ছে তাই এখানে সময় সাশ্রয় হবে ।

·        নকল পণ্য ও নিম্নমানের পণ্য প্রাপ্তির সম্ভাবনা কম । এই প্রক্রিয়ায় যেহেতু কাস্টমার সরাসরি উৎপাদক বা আমদানিকারক এর কাছ থেকে পণ্যটি গ্রহণ করেছেন সেহেতু পণ্যটি নকল বা একটি পূর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা কম ।

·        অবৈধ বা আন-অফিসিয়াল পণ্য পাওয়ার সম্ভাবনা নেই তাই ওয়ারেন্টি ও বিক্রয়োত্তর সেবাগুলো সঠিকভাবে পাওয়া সম্ভব ।

ড্রপ শিপিং ব্যবস্থাপনায় খুচরা বিক্রেতার সুবিধা
Retailer benefits in drop shipping management

·        পণ্য মজুদ রাখার কোন ঝামেলা নেই । যার ফলে ওয়ারহাউজ বা গোডাউনের জন্য অতিরিক্ত যে ভাড়া প্রদান করা হতো সেটি আর করতে হবে না।

·        অল্প সময়ের মধ্যেই ব্যবসা বড় করার জন্যে এই মডেল অনেক লাভজনক হতে পারে

·        ড্রপ শিপিং মডেলের ব্যবসা বড় করার সাথে সাথে একজন বিক্রেতা যেমন পণ্য ডেলিভারির সময় আরো কমিয়ে আনতে পারে, তেমন আরো বিচিত্র ধরনের পণ্য নিয়ে আসতে পারে ফলে নতুন ক্রেতারাও আরো বেশি আকৃষ্ট হয়

·        ফার্নিচার, রেফ্রিজারেটর, ওয়াশিং মেশিন ঘরের সামগ্রী বা ম্যাট্রেসের মতো পণ্য বিক্রি করে, তাদের প্রতিটা প্রোডাক্ট সবসময় মজুদ রাখাটা ঝামেলার ব্যাপার । এখানে ড্রপ শিপিং একজন খুচরা বিক্রেতার জন্য আশীর্বাদস্বরূপ ।


ড্রপ শিপিং ব্যবস্থাপনায় উৎপাদকের সুবিধা
Manufacturer's advantage in drop shipping management

·        এ ধরনের বিজনেস মডেল এর খুচরা বিক্রেতারা মূলত উৎপাদকের মার্কেটিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে । যার ফলে একজন উৎপাদক চাইলে তার মার্কেটিং খরচ কমিয়ে পণ্যের মান ভাল করার দিকে নজর দিতে পারেন এবং যা পরবর্তীতে তার পণ্যের মার্কেটে ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ।

·        উৎপাদকের সাথে ভোক্তার সরাসরি যোগাযোগ করার একটি ক্ষেত্র হওয়ার সুযোগ রয়েছে এখানে। যার ফলে একজন উৎপাদক তার উৎপাদনকৃত পণ্যের প্রতি কাস্টমারের বিভিন্ন মতামত সরাসরি সংগ্রহ করতে পারবে । যা পরবর্তীতে তার উৎপাদিত পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ বা রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট এর ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে ।

বর্তমানে ড্রপ শিপিং ব্যবসা শুরু করা অনেক সহজ তাই বিভিন্ন শিল্পের অনেক প্রতিষ্ঠান এখন তাদের পণ্য ডেলিভারির জন্য ড্রপ শিপিং সার্ভিস চালু করছে ড্রপ শিপিং শুরু করার ক্ষেত্রে যেই ধাপটি সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ  সেটা হলো সঠিক পণ্যটি খুঁজে বের করা বিক্রেতা যে পণ্যটি বিক্রি করবেন এবং ক্রেতাদের কাছে যেটার প্রচারণা চালাবেন, সেটা নির্ধারণ করতে গিয়ে সতর্ক থাকা জরুরি সেজন্য প্রথমেই যেই বিষয়টা নিশ্চিত হতে হবে, সেটা হলো বাজারে এই পণ্যের চাহিদা আছে কিনা কিংবা বাজারে পণ্যটি চলছে কিনা  তবে ড্রপ শিপিং-এর ব্যবসায় প্রবৃদ্ধি আনার জন্যে এবং ক্রেতাদের ধরে রাখার জন্য এর আকার বড় করতে হয় তা না হলে দীর্ঘমেয়াদে এই ব্যবসা থেকে লাভ করা যায় না

ড্রপশিপিং এ বাংলাদেশ খুব একটা এগিয়ে আছে এমনটি নয় তবে বাংলাদেশেও ইন্ড্রাস্ট্রি ধীরে ধীরে অগ্রগতি লাভ করছে। ই-কমার্স এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এর ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, বর্তমানে বাংলাদেশে দৈনিক ডেলিভারী সংখ্যা ২ লাখ ও বাস্কেটভ্যালু ২২শ টাকা ।বর্তমানে মোট জনসংখ্যার ৪% লোক মাত্র অনলাইনে কেনাকাটা করে।


এস এম শামীম হাসান
জনসংযোগ কর্মকর্তা – ব্যাংকিং টাচ্
ফলো করুন: facebook.com/smhamimhasanbd

 সকল ক্যাটাগরী ব্রাউজ করতে এখানে ক্লিক করুন... 


এই আর্টিকেলের তথ্য ও বিষয়বস্তু পূর্ব-প্রকাশিত উৎস থেকে গৃহীত হয়েছে বা তার আলোকে সম্পাদিত হয়েছে। উক্ত তথ্যের দায়ভার কোনভাবেই আমাদের নয়। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন..........

All information and data used in this article collected from a pre-published source. We are not responsible for that information. Read details......

আপনার একটু সমর্থনই আমাদের এগিয়ে চলা ও আরও ভাল কিছু করার অনুপ্রেরণা যোগায়। আপনার মূল্যবান সমর্থনটি জানাতে ভিজিট করুন আমাদের সমাজিক যোগযোগের পেজগুলোতে ও লাইক, ফলো ও সাবস্ক্রইব করে আমাদের সাথে থাকুন। ধন্যবাদ

ফেসবুক

ইনস্ট্রাগাম

টুইটার

ইউটিউব

কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। বিস্তারিত.......

তথ্যসূত্র:

১। ই-কমার্স এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)

0 Comments: